মাহফিলে আসা মুসল্লিদের মধ্যে ১০ জন বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
চরমোনাই অস্থায়ী মাহফিল হাসপাতালে এ বছর তিন সহস্রাধিক মুসল্লিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এবারের মাহফিলে চারজন অমুসলিম পীরসাহেব চরমোনাই ও শায়খে চরমোনাইর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন।
আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোনো মূল্য নেই।
গিবতের মতো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। পরিবারের সবাইকে দ্বিন শিক্ষা দিয়ে দ্বিনের পাবন্দি করতে হবে। পরিবারে খাছ পর্দা জারি করতে হবে। সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য থেকে বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহওয়ালাদের কিতাব পড়তে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালিমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। সহিহশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করতে হবে।
আখেরি বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি তাওবা করিয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার শপথ করান।
আখেরি মোনাজাতে ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়।
এ বছর মাহফিলে মূল সাতটি বয়ানের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশসহ সৌদি আরব, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও তুরস্কের বিশিষ্ট ওলামায়ে কিরাম।
0 মন্তব্যসমূহ